ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার জন্য প্রয়োজন সঠিক ক্যাটাগরি বাছায় করা। আপনার মধ্যে যদি ক্রিয়রটিভিটি একটু হলেও থাকে এবং সাথে যদি আপনি ধৈর্য ধরে লেগে থাকার মন মানসিকতা পোশন করেন তাহলে নিম্ন লিখিত বিষয় গুলো থেকে যে কোন একটি বিষয় বাছাই করে আজই শুরু করে ফেলুন নিজের একটি চ্যানেল।
১. Tech রিভিউঃ
ইউটিউব চ্যানেল থেকে অল্প ভিজিটরে অধিক আয় করার জন্য প্রয়োজন সঠিক ক্যাটাগরি বাছায় করা। আর সঠিক ক্যাটাগরির মধ্যে Tech রিভিও চ্যানেল অন্যতম। কারণ এই ক্যাটাগরির ভিডিওগুলোতে এডসেন্স ভালো CPC দিয়ে থাকে। যার ফলে অল্প ভিজিটরেও অধিক আয় হয়।
২. এডুকেশন চ্যানেলঃ
আমরা যখন বই বা গাইটের কোনো পড়া বুঝতে না পারি তখন আমরা সেই পড়াটি ভালোভাবে বুঝার জন্য ইউটিউবে সার্চ করে থাকি এবং তার সমাধান ও পেয়ে যায়। তো আপনি যদি লেখাপরার বিষয়ে আগ্রহী হন তাহলে এই ক্যাটাগরির চ্যানেল তৈরি করতে পারেন।
৩. গ্যাজেট রিভিউঃ
মার্কেটে নিত্য নতুন যে গেজেট আসে সে সকল গেজেট নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। আবার সেসব প্রোডাক্টের এফিলিয়েট মার্কেটিং ও করতে পারেন।
৪. মেক মানি চ্যানেলঃ
নিত্য নতুন আর্নিং অ্যাপ্স এবং ওয়েবসাইট মার্কেটে আসলে সে সকল অ্যাপস বা ওয়েবসাইটের রিভিউ ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এতে করে আপনার রেফার লিংক এর মাধ্যমে যারা সেইসব অ্যাপ বা ওয়েবসাইট এ জয়েন হবে তাদের কাছ থেকে আপনি কমিশন পাবেন।
৫. ব্লগিং চ্যানেল: যারা ভ্রমণ প্রিয় মানুষ তাদের জন্য এই ক্যাটাগরি সবচেয়ে উপযুক্ত। একদিকে আপনারা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করে আনন্দ পাবেন অপরদিকে আপনার ইনকাম হবে।
৬. গ্যামিং চ্যানেলঃ
যারা গেম খেলতে পছন্দ করে বা নিয়মিত গেম খেলেন তারা গেমিং ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করতে পারে।
৭. মোবাইল রিভিউ চ্যানেলঃ
মোবাইল কোম্পানিগুলো নিত্য নতুন মোবাইল তৈরি করতেছে । আপনি সে সকল মোবাইলের রিভিউ ভিডিও ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
৮. মিউজিক ভিডিও চ্যানেলঃ
আপনার যদি গান বাজনার প্রতি দুর্বলতা থাকে সাথে যদি আগ্রহ থাকে নিজের ক্রিয়েটিভিটি কে প্রকাশ করার একটি প্রোডাক্টশন হাউজ করে কাজ করার মাধ্যমে আপনি নিজের একটি চ্যানেল খুলে শুরু করতে পারেন।
৯. ফুড রিভিউঃ
বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের রিভিও ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
১০. কুকিং চ্যানেলঃ
এই ক্যাটাগরিটি পুরুষের তুলনায় মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী হবে।
১১. App রিভিউ চ্যানেলঃ
প্লে স্টোরে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ রয়েছে যে অ্যাপ গুলো সম্পর্কে মানুষ জানে না। তো আপনি সে সকল অ্যাপ খুঁজে বের করে ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
১২. আউটসোর্সিং চ্যানেলঃ
ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
১৩. মুভি রিভিউ চ্যানেলঃ
নতুন মুভি আসলে বা পুরনো মুভির রিভিউ ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
১৪. গানের চ্যানেলঃ
গান গাইতে পছন্দ করলে গানের অ্যালবামের ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
১৫. Health Tips চ্যানেলঃ
স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন টিপস নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
১৬. Cartoon Video চ্যানেলঃ
বাচ্চাদের জনপ্রিয় কার্টুন ভিডিও গুলোর রিভিউ ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
১৭. এনিমেশন চ্যানেলঃ
নিজস্ব ক্যারেক্টার ব্যবহার করে ইউনিক ক্যারেক্টার বানিয়ে কার্টুন বা এনিমেটেড ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
১৮.রোস্টিং ভিডিওঃ
আপনি চাইলে রোস্টিং ভিডিও তৈরি করতে পারেন বিভিন্ন আলোচিত ব্যাক্তিকে নিয়ে।
১৯. ফানি ভিডিওঃ
নিজস্ব ভয়েস এবং এডিটিং এর মাধ্যমে ফানি ভিডিও তৈরি করতে পারেন।এছাড়াও নাটকের মত ফানি ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
২০. টয় চ্যানেলঃ
বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রকার খেলনা সামগ্রি নিয়ে খেলার ভিডিও বানাতে পারেন ।
পরিশেষে এটাই বলবো, আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে উপার্জন করতে চান, তাহলে আপনাকে আগে নিষ্ঠার সঙ্গে, ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। সময় দিতে হবে। আর এই সময় ই হল অনলাইন উপার্জনের সবচেয়ে বড় জাদু। পাশাপাশি নিচের বিষয় গুলোর প্রতি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
- আপনাকে হাই কোয়ালিটির কনটেন্ট তৈরি করা আয়ত্ত করতে হবে।
- একটা নয়, বেশ কয়েকটি ভিডিও বানাতে হবে, ভিডিওর কোয়ালিটি ভালো হতে হবে। অবশ্যই আপনার নলেজ আছে এমন টপিকের উপরে ভিডিও বানাতে হবে।
- রাতারাতি অর্থ উপার্জনের চিন্তা মাথার থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
- সময়, ধৈর্য্য, ও কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা রাখতে হবে।
- ইউটিউব ছাড়াও ব্লগ এ ও কাজ করতে পারলে অনেক বেশি দ্রুত এগোতে পারবেন।
কোন মন্তব্য নেই